সেলেব্রেটিদের ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণা ঠেকাতে আবারও ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’ প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছে মেটা, যা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পরিচালনা করে। ২০২১ সালে এই প্রযুক্তি গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল মেটা। তবে তিন বছর পর মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) তারা ফের এটি চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
‘সেলেব বেইট’ নামে পরিচিত এই ধরনের প্রতারণা রোধে মেটা প্রাথমিকভাবে ৫০,০০০ পাবলিক ফিগারকে এই প্রযুক্তির আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছে। কোনো ভুয়া বিজ্ঞাপনদাতা যদি সেলিব্রিটির ছবি ব্যবহার করে, তবে প্রযুক্তিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই ছবির সঙ্গে সেলেব্রিটির প্রোফাইল ছবি মিলিয়ে দেখবে। যদি ছবিগুলি মিলে যায় এবং বিজ্ঞাপনটি ভুয়া হয়, তবে সেটি মুছে ফেলা হবে।
মেটা জানিয়েছে, এই প্রযুক্তির আওতায় আসার আগে সেলিব্রেটিদের অবহিত করা হবে, এবং যারা এতে অংশ নিতে চান না তাদের জন্য অপশন থাকবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে বিশ্বব্যাপী এটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঙ্গরাজ্যে আইনগত অনুমোদন না থাকায় সেখানে এটি ব্যবহার করা যাবে না।
মেটার কনটেন্ট পলিসি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা বাইকার্ট সাংবাদিকদের বলেন, তারা মূলত সেই সেলিব্রিটিদের অন্তর্ভুক্ত করতে চান, যাদের ছবি আগে থেকে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়েছে।
২০২১ সালে এই প্রযুক্তি চালুর পর প্রায় ১০০ কোটি ব্যবহারকারীর ফেস স্ক্যান তথ্য মুছে দিতে বাধ্য হয় মেটা, এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হয়। প্রতারণা ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগেও তারা সমালোচনার মুখে পড়েছে। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রতারকরা খ্যাতিমান ব্যক্তিদের ছবি নকল করে বিভিন্ন প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করছে, যা ব্যবহারকারীদের প্রলোভিত করে অর্থ দাবি করে।